ভালোবাসবার স্থান নেই
মো নাহিদ হোসেন
প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে ঘুরলে তারা প্রতিবাদ করবেনা
রাস্তার পাশে প্রকাশ্যেই ইয়াবা খেলে কেউ প্রতিবাদ করেনা
নির্ঘুম রাতে মদ পানে মাতলামি করলে তারা প্রতিবাদ করবে না।
অফিসের চেয়ারে বসে ঘুষের পাহাড় গড়লে কেউ প্রতিবাদ করবে না।
পাড়া মহল্লায় অসহায়দের জিম্মি করে সুদিকারবারীরা টাকার পাহাড়
গড়লেও তারা প্রতিবাদ করবে না।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে মেয়েদের উত্তক্ত করলে অথবা
প্রকশ্যে ধর্ষন করলেও তারা প্রতিবাদ করবে না।
কিন্তু প্রিয়তম আমার,
তোমাকে নিয়ে ঘুরতে বেরুলেই
সমাজপতিরা জ্বলে-পুড়ে ছারখার হবে।
চারিদিকে কেবলি তাদের রক্তচক্ষু
অথবা শুধুই সূর্য ঢেকে দেয়া
রক্তপাত বা বন্দুক, বুলেট. বেয়োনেট।
আমি তাদের ভয়ে কোন নাক্ষত্রিক
ভালোবাসার রূপালি রাতে, তোমায় নিয়ে ঘুরতে পারিনা।
শোনাতে পারিনা আমার হৃদয় থেকে উৎসারিত ভালোবাসার
পঙক্তিমালা দিয়ে রচিত শ্লোকগুলি।
পাড়ার মেঠোপথ ধরে তোমার
হাত ধরে চলতে পারি না আড়চোখী মানুষে ভয়ে।
আমি ইচ্ছে করলেই আকতে পারি না
তোমার তপ্ত ঠোঁটে অফুরন্ত চুম্বন-লিপি।
উষ্ণতম বিকেলে নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে করতে পারিনা মধুর আলিঙ্গন।
সমাজপতিদের গঁদবাধা পথ রেখা
দিয়ে চলছি আমরা।
এখানে ভালোবাসার অধিকার নেই।
কেবলি রক্তচক্ষু, সমাজপতি-মৌলবাদিদের রক্তচক্ষু।
ভালোবাসার কোন স্থান নেই, নেই কোন উদ্যান।
আমাদের বুকে তাই ভালোবাসা কুড়ে কুড়ে খায়, হিংসুক সমাজপতিরা।
যুগে যুগে কালে কালে ভালোবাসাহীন
আমরাও মরে যাই।
এভাবেই শেষ হয় আমাদের ভালোবাসা।