প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার বাঁশপুকুর ও বৈদ্যনাথপুর গ্রামে নতুন করে অবনমন ঘটায় জমি অধিগ্রহণের নামে হয়রানী ও অর্থ প্রদানে বিলম্বের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে দুই গ্রামের সহ¯্রাধিক নারী-পুরুষ।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির উদ্যোগে বড়পুকুরিয়া স্কুল ও কলেজ মাঠে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা ইব্রাহিম খলিল, রেজওয়ান, রুহুল আমিন, বেলাল উদ্দিন, সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, গ্রামবাসী লুৎফর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধন চলাকালে জীবন ও সম্পদ রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা ইব্রাহিম খলিল বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে চারপাশের ৬০০ একরেরও বেশি জমি দেবে গেছে। ওই জমিগুলো জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। প্রথম দিকে ১৯০ কোটি টাকায় ৬৭২ একর জমি অধিগ্রহণ করে খনি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে অধিগ্রহণের বাইরে নতুন করে বাঁশপুকুর ও বৈদ্যনাথপুর দুটি গ্রামের প্রায় ১৫ দশমিক ৫৮ একর জমি অবনমন হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই দুই গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার। ফাটল ধরেছে ঘর-বাড়িতে। কুয়া, টিউবওয়েল ও পুকুরের পানি প্রতিনিয়ত ভ‚গর্ভে নেমে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় খনি কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের ১ মার্চ ৪ ধারায় ও ২৩ জুন ৭ ধারায় ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের জমি অধিগ্রহণের নোটিশ দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও জমি অধিগ্রহণের কাজ আজও সম্পন্ন হয়নি। দেওয়া হয়নি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের অর্থ। যার কারণে গ্রামে বসবাসকারী পরিবারগুলো ঘর-বাড়ি ছেড়েও যেতে পারছেন না। আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের। যেকোনো মুহূর্তে ঘর-বাড়ি ভ‚গর্ভে দেবে যেতে পারে।
খনি কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরো বলেন, সাত দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে খনি কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা হবে আমাদের ন্যায্য অধিকার বুঝিয়ে দিতে।
এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খানের মুঠোফোনে একাধিকার ফোন করা হলে তিনি কলটি কেটে দেন।
