অনলাইন ডেস্ক : বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলো মুক্তির বিষয়ে আমাকে ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, তাদের দলের পক্ষে থেকে তারা দাবি করছে, বেগম জিয়ার প্যারোলোর জন্য, আমি যেন বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী কাছে পৌঁছিয়ে দেই। আমি এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। এ ব্যাপারে তারা লিখিত কোনো আবেদন পাননি। খালেদার প্যারোলো মুক্তি শুধু বিএনপি মুখে মুখেই বলছেন।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলো মুক্তির বিষয়টি আদালতের বিষয়। এ বিষয়ে তারা মুখে মুখে বলছেন কিন্তু লিখিত কোনো আবেদন করেননি। তিনি বলেন, এটা দুর্নীতির মামলা। রাজনৈতিক মামলা হলে সরকার প্রধান বিবেচনা করতে পারতেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা বার বার সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি বা প্যারোলে মুক্তি চাচ্ছে কিন্তু বিষয়টি রাজনৈতিক মামলা নয়। সরকার এ বিষয়টি তখনই বিবেচনা করতে পারতো যদি বিষয়টি রাজনৈতিক হতো।
তিনি বলেন, তারা প্যারোলোর জন্য আবেদন করলে কি কি কারণে প্যারোল চান তা আবেদনে উল্লেখ করতে হবে। সেটা নিয়মের মধ্যে পড়ে কিনা তাও দেখতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ড যে রিপোর্ট দেবে তা আদালতের কাছে পৌঁছতে হবে। খালোদা জিয়ার শারিরীক অবস্থা নিয়ে বিএনপির নেতারা যেভাবে বলছেন, কিন্তু দায়িত্বরত ডাক্তাররা সেভাবে বলেন না।
তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সরকার এতটা অমানবিক আচরণ করবেন না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি এক মুখে দুই কথা বলেন। এটা দ্বিচারিতা। তারা কি চান তারা নিজেরাই জানেন না। এ কারণে তারা রাজনীতিতে সফল হতে পারছেন না।