স্বাস্থ্য ডেস্ক: জ্বরঠোসা হলেই ভাবেন রাতে হয়তো জ্বর এসেছিল। কেউ কেউ এটাকে চোরা জ্বরও বলে থাকেন। তবে চিকিৎসকরা একথা মানতে নারাজ। তাদের মতে ঠোঁটের কোণায় একগুচ্ছ ফুসকুড়ি কিংবা কোনো কারণে ঘা হলে তাকে বলে জ্বরঠোসা। চিকিৎসা পরিভাষায় ফিভার ব্লিস্টার। ফুসকুড়ি ওঠার ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ঘা হয়। ঘা হয়ে ব্যথা হয়, অনেক সময় রসও গড়ায়। এই ব্লিসিটারে ব্যথা হলে তাকে বলা হয় কোল্ড সোর।
জ্বরঠোসার লক্ষণ: ঠোঁটের কোণে, বর্ডারে বা বর্ডারের আশেপাশে গুচ্ছ-বদ্ধ ফুসকুড়ি, জ্বর, ব্যথা, বমিভাব কিংবা বমি, মাথাব্যথা।
জ্বরঠোসা হওয়ার কারণ: সাধারণভাবে মনে করা হয় ভেতর ভেতর বহুদিন ধরে শরীর খারাপ চললে জ্বরঠোসা হয়। কিন্তু আসলে তা নয়। ফিভার ব্লিস্টারের কারণ হচ্ছে HSV-১ ইনফেকশন। এই ইনফেকশনের কারণেই জ্বর আসে! তবে জ্বরের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে যদি সেই জ্বর অন্যকোন ইনফেকশনের কারণে হয়।
প্রতিকারের উপায়: যে জায়গায় ঘা হয়েছে সেই জায়গা নখ দিয়ে একদম খুঁটবন না। বরফ দিয়ে প্রেস করুন। বরফ দিয়ে চেপে ধরলে ব্যথা কমবে। অন্য কোনো সংক্রমণের সমস্যা থাকবে না। তবে বরফ সরাসরি নয়, কোনো টাওয়ালে চেপে লাগাতে হবে। পাঁচ মিনিট চেপে রাখুন। এভাবে ১৫ মিনিট ধরে করতে হবে। কোনো ব্যথাতেই বরফ সরাসরি লাগাবেন না।
লেমন এসেন্সিয়ল অয়েল: লেবু রয়েছে এমন এসেন্সিয়ল অয়েল তুলো দিয়ে ক্ষতস্থানে চেপে চেপে লাগাতে হবে। এরপর ওখানে অয়েন্টমেন্ট জাতীয় কিছু লাগিয়ে নিন।
রসুন খান: এরকম সমস্যা বেশি হলে রসুন বেশি করে খান। প্রতিদিন গরম ভাতে রসুন আর কাঁচালঙ্কা ভেজে খান। খেতে পারেন রসুনের আচার। কিংবা কাঁচা রসুনও খেতে পারেন। এছাড়াও রসুনের কোয়া বেটে নিয়ে ক্ষতস্থানে লাগালেও ভালো ফল পাবেন।
টি ট্রি অয়েল: মুখের যে কোনো সমস্যায় টি ট্রি অয়েল খুবই উপকারী। এই অয়েল মুখ, ত্বক ভালো রাখে। তেমনই যে কোনো ইনফেকশন থেকেও রক্ষা করে। স্নান করে বা মুখ ভালো করে ধুয়ে তুলোয় করে টি ট্রি অয়েল লাগান। ১৫ দিনেই অনেক উপকার পাবেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: ভিটামিনের অভাব হলেও কিন্তু জ্বরঠোসা হয়। আর তাই প্রতিদিন পাতে রাখুন ভিটামিন সি। লেবু, আমলার জুস যে কোনো একটা অবশ্যই খান। যদি প্রতিদিন অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খেতে পারেন তাহলেও খুব ভালো। এতে ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হবে।