রোকনুজ্জামান, জামালপুর থেকে : জামালপুরের মেলান্দহে ভাতিজার বউকে নিয়ে পালানোর চেষ্টাকালে চাচাশ্বশুর ও ভাতিাজা বউকে হাতেনাতে আটক করেছে এলাকাবাসী। রাতভর আটক রাখার পর সকালে স্থানীয় মাতাব্বরের যোগসাজশে মুক্ত হয় তারা।
এলাকাবাসী জানায়, জেলার মেলান্দহ উপজেলার চর ঘোষেরপাড়া সীমান্তবর্তী এলাকার দুদিয়াগাছায় আলামিনের সাথে প্রায় ৪ বছর আগে বিয়ে হয় কাহেত পাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আয়নলের মেয়ে সোনিয়ার (ছদ্ধনাম)। বিয়ের পর হতেই পাশ^বর্তী রবিজলের ছেলে চাচা শ্বশুর রুবেলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিলো। ১৩ মাসের একটি সন্তান সোনিয়ার। তার স্বামী আল আমিন বিষয়টি জানার পর কয়েকবার মাতাব্বরদের জানালেও তাকে প্রমাণ নিয়ে আসতে বলেন তারা। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে স্বামী আলামিনকে ঘুম পাড়িয়ে চাচা শ্বশুর রুবেলের ঘরে চলে যায় সোনিয়া। স্বামী আল আমিনের ঘুম ভাঙলে সোনিয়াকে না পেয়ে চাচা শশুরের ঘরে খোঁজ নেয়। পরে তাদের দুজনকেই নগ্ন অবস্থায় দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজনেকে খবর দেন আলামিন। এলাকাবাসী এসে চাচা শ্বশুর রুবেলের ঘরে আটক করে তাদের।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা ওই বাড়িতে গেলে তাদের বাধা দেন মাতাব্বর রাইহান উদ্দিন। এক পর্যায়ে বিষয়টি তিনি মিমাংসা করবেন বলে জানিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের চলে যেতে বলেন।
অভিযুক্ত সোনিয়া জানান, রুবেলের সাথে তার ৬-৭ মাস ধরে সম্পর্ক। আমি তার কাছেই থাকমু। স্বামীর সঙ্গে সংসার করুম না।
স্বামী আলামিন জানান, এ সম্পর্কের ব্যাপারে আমি প্রায় ১ বছর ধরে জানি। মাতাব্বরদের বললে, তারা আমার কাছে প্রমাণ চায়। আজ হাতেনাতে ধরেছি।
চাচা শ্বশুর রুবেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, যা হবার হইছে এখন বিচার যা হয়- হবে! এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।