বগুড়া থেকে সংবাদদাতা : মশকনিধনে মাঠে নেমেছে বগুড়ার পুলিশ। এখন থেকে কোনো এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে গেলে নির্দিষ্ট একটি নম্বরে ফোন দিলেই চলে আসবে পুলিশের মশা দমন ইউনিট। পরিদর্শক পর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে সেখানে চলবে মশা নিধন অভিযান।
শুক্রবার দুপুরে শহরের সাতমাথায় জেলা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে মশকনিধন অভিযানের শুরুতেই পুলিশ সুপার আশরাফ আলী ভূঞা এ ঘোষণা দেন। এ পর ৪৫টি ফগার মেশিন একসঙ্গে চালিয়ে এই অভিযানের উদ্বোধন করা হয়।
মশা নিধন কর্মযজ্ঞে অংশ নেন জেলার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপাররা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ১২টি থানার ওসি ও অন্যান্য পদমর্যাদার প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা।
পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা জানান, পুলিশের হেলপ ডেক্স ০১৭৪১০৯৮৭০০ নম্বরে ফোন করলেই এলাকাভিত্তিক সেবা মিলবে। একজন পুলিশ পরিদর্শকের নেতৃত্বে জরুরি সেবা দিতে পুলিশের টিম পৌঁছে যাবে ওই এলাকায়। এরপর সেখানে ওষুধ ছিটিয়ে এডিস মশা কিংবা তার লার্ভা নির্মূল করা হবে।
এডিস মশা নিধনে আড়াই মণ কীটনাশক এনে সেগুলো স্প্রে করা হচ্ছে। ১৫টি স্প্রেমেশিন দিয়ে ড্রেনগুলোতে এবং ৩০টি ফগার মেশিন দিয়ে এলাকায় কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘এডিস মশার লার্ভা যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধ্বংস করা যায় তাহলে ডেঙ্গু ছড়াবে না। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষ গ্রামে আসছে। এখনই যদি আমরা সাবধান না হই তাহলে ডেঙ্গু গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। সে কারণে আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতন করছি।’
দুই সপ্তাহের এই অভিযানে প্রতিটি এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করছেন। এ ছাড়া কোনো ব্যক্তি পুলিশের হেলপ ডেক্সে ফোন করলে ডেঙ্গু আত্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের সহযোগিতামূলক তথ্য জানতে পারবেন।