স্পোর্টস রিপোর্টার: মামুলি টার্গেট।টাইগাররা ২০ ওভার খেলে মাত্র ১৩২ রানের টার্গেট দেয় টিম অস্ট্রেলিয়াকে। এই টার্গেট নিয়ে মাঠে খেলতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় অজিরা। টাইগারদের ঝড়ে দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ১১ রানে আরও ২ উইকেটের পতন ঘটে অস্ট্রেলিয়রে। ১৩২ রানের ছোট্ট লক্ষ্যের পেছনে ছুটে শেষ পর্যন্ত ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ম্যাচে ২৩ রানে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করে বাংলাদেশ। এই সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে নাসুম আহমেদের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ১০৮ রানে অলআউট হয় অজিরা। ১৩২ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। মেহেদী হাসানের স্পিনে বোল্ড হয়ে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার অ্যালেক্স কেরি।
দলীয় ১০ রানে নাসুম আহমেদের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার জশ পিলিপি। মেহেদির মতো সাকিব আল হাসানও প্রথম বলে সাফল্য পান। এ বাঁ-হাতি স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ময়েস হেনরিক্স।
২.১ ওভার তথা ১৩ বলে দলীয় ১১ রানে ৩ উইকেট পতনের পর অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মিসেল মার্শ। চতুর্থ উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়ে নাসুম আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ওয়েড। তিনি ২৩ বলে মাত্র ১৩ রান করে ফেরেন।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন মিসেল মার্শ। ১৫.৩ ওভারে দলীয় ৮৪ রানে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে মার্শ আউট হলে লেজের ব্যাটসম্যানরা আর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১০৮ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ।৩.৩ ওভারে দলীয় ১৫ রানে জশ হ্যাজলউডের গতির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সৌম্য। ৯ বলে মাত্র ২ রান করে ফেরেন এ ওপেনার। দলকে খেলায় ফেরানোর আগেই বিপদে পড়েন অন্য ওপেনার নাঈমও। দলীয় ৩৭ রানে ২৯ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩০ রান করে অ্যাডাম জাম্পার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন টাইগার এ ওপেনার।
জশ হ্যাজলউডের করা আগের বলেটি ডিপ ব্যাকওয়ার্ স্কয়ারের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ঠিক পরের বলেই লং অপের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হেনরিকসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রিয়াদ। ১২.২ ওভারে দলীয় ৭৩ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক (২০)। ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ বলে ৩ রান করা নুরুল হাসান সোহান ফেরেন ৪ বলে ৩ রান করে।
১৬.৬ ওভারে দলীয় ১০৪ রানে হ্যাজলউডের তৃতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান। তার আগে ৩৩ বলে তিন চারে ৩৬ রান করেন সাবেক এ অধিনায়ক। সাকিব আউট হওয়ার পর ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শামিম হোসেন। ৩ বলে ৪ রান করে মিসেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন তিনি।
ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন আফিফ হোসেন। তার আগে ১৭ বলে তিন বাউন্ডারিতে করেন ২৩ রান। বাংলাদেশ থামে ৭ উইকেটে ১৩১ রানে।